শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি! লালমনিরহাটে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের মোগলহাট সড়ক পুর্ণ নির্মাণ কাজে গতিহীন; সাধারণ মানুষের ভোগান্তি! মহান মুক্তিযুদ্ধে লালমনিরহাট প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪-২৫ বিভাগীয় পর্যায় এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্নবাহী বধ্যভূমি ও গণকবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলার কমিটি গঠন লালমনিরহাটে যেন কোন কাজেই আসছে না স্লুইস গেইট!
লালমনিরহাটে জীবিত আছেন ২জন ভাষা সৈনিক

লালমনিরহাটে জীবিত আছেন ২জন ভাষা সৈনিক

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার ভাষা সৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ কোন তালিকা কোথাও সংরক্ষিত নেই। সেই ভাবে তালিকাও হয়নি। তবে পত্র-পত্রিকা, ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়ায় কয়েকজন ভাষা সৈনিককে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসব তথ্যের আলোকে জীবিত ও প্রয়াত নারী-পুরুষ মিলে ১২জন ভাষা সৈনিকের তথ্য পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১০জন প্রয়াত। তাঁরা হলেন- আশরাফ আলী, ড. শাফিয়া খাতুন, মনিরুজ্জামান, আবদুল কুদ্দুছ, কমরেড শামসুল হক, মহেন্দ্র নাথ রায়, আবিদ আলী, জরিনা বেগম, জাহানারা বেগম (দুলু), কমরেড সিরাজুল ইসলাম। অপরদিকে এখনও ২জন জীবিত রয়েছেন। তাঁরা হলেন- আবদুল কাদের ভাসানী, মোঃ জহির উদ্দিন আহম্মদ।

ভাষা সৈনিক আবদুল কাদের ভাসানী: ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নের সময় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ভাষা সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাটের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাসবর্জন করার আহ্বান জানান। তাঁর আহ্বানে শিক্ষার্থীরা সাড়া দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। তিনি পুলিশের খাতায় একজন পাকিস্তান বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হন। সেই দিন স্কুলের পেছনের প্রাচীর টপকে পালিয়ে গ্রেফতার এড়ান। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

 

ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদ: ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করার সময় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি লালমনিরহাটে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হলে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২৩ ফেব্রুযারি হরতালের সমর্থনে স্কুলের ছাত্রদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হওয়ার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone